ব্যাক্তিগত ঋণ কি ও ব্যাক্তিগত ব্যাংক ঋণের জন্য আবেদন লিখুন।

ব্যাক্তিগত ঋণ কি

ব্যাক্তিগত ঋণ হল এক ধরনের অসুরক্ষিত ঋণ, যা ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি (NBFC) দেয়। এই ঋণটি কোন নির্দিষ্ট সম্পদের বিপরীতে নেওয়া হয় না, তাই একে “অসুরক্ষিত ঋণ” বলা হয়। ব্যাক্তিগত ঋণ সাধারণত স্বল্পমেয়াদী ঋণ হয়, যার মেয়াদকাল ১২ থেকে ৬০ মাস পর্যন্ত হতে পারে।

ব্যক্তিগত ঋণ বিভিন্ন কারণে নেওয়া যেতে পারে, যেমন:

  • জরুরি চিকিৎসা খরচ
  • শিক্ষার খরচ
  • বিবাহ বা অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানের খরচ
  • ভ্রমণের খরচ
  • ঋণ পরিশোধ
  • অন্যান্য ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয়তা

ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়ার আগে, আপনার আয়ের পরিমাণ, ঋণের পরিমাণ, সুদের হার এবং মাসিক কিস্তি নিয়ে বিবেচনা করা উচিত। এছাড়াও, আপনার ক্রেডিট স্কোর ভালো থাকলে ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

ব্যক্তিগত ঋণের সুবিধাগুলি হল:

  • সহজেই পাওয়া যায়
  • ঋণের পরিমাণ বেশি হতে পারে
  • ঋণের মেয়াদকাল দীর্ঘ হতে পারে

ব্যক্তিগত ঋণের অসুবিধাগুলি হল:

  • সুদের হার বেশি হতে পারে
  • ঋণের পরিমাণ বেশি হলে মাসিক কিস্তি বেশি হতে পারে
  • ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে দেনাদারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে

বাংলাদেশে ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়ার জন্য সাধারণত যেসব নথিপত্র প্রয়োজন হয়:

  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন
  • বর্তমান ঠিকানার প্রমাণ
  • আয়ের প্রমাণ
  • ক্রেডিট স্কোর

ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়ার আগে, বিভিন্ন ঋণদাতাদের কাছ থেকে ঋণের শর্তাবলী এবং সুদের হার তুলনা করে ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

ব্যাক্তিগত ঋণ এর জন্য ম্যানেজারের নিকট আবেদন

তারিখ : ১০/০২/২০..

বরাবর,

মাননীয় ম্যানেজার
সেই ব্যাংক এর নাম লিখুন
থানার নাম, জেলার নাম

বিষয়: ব্যাক্তিগত কাজে ব্যাংক ঋণের জন্য আবেদন

জনাব,
আমার সবিনয় বিনীত নিবেদন এই যে, আমার নাম (আপনার নাম এখানে লিখুন), উক্ত ব্রাঞ্চে আমার বর্তমান ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর (আপনার অ্যাকাউন্ট নম্বর লিখুন)। কিছুদিন আগেই আমি আমার একটি বাড়ি নিমার্ণের কাজ আরম্ভ করেছি। তবে এই বাড়ির কাজ পরিপূর্ণ করতে আমার প্রায় ১০০,০০০/- টাকা ব্যাক্তিগত ঋণের দরকার।

আমি ব্যাক্তিগত কাজে ব্যাংক ঋণের টাকা আমি সর্বোমোট ১২ কিস্তিতে বা ১ বছরের মধ্যে আমি এই ঋণের মূলধন ও প্রাপ্ত সুদ সমেত পরিশোধ করতে চাই। তাই এই ব্যাংক ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে আমি আপনার উক্ত ব্যাংকের সকল শর্ত ও নিয়মাবলী মেনে চলতে রাজি আছি।

অতএব, সম্মানিত মহোদয়ের নিকট আমার বিনিত নিবেদন এই যে, আমার চাহিদা মাফিক ঋণ প্রেরণ করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আপনার নিকট বিশেষভাবে কৃতঙ্গ থাকবো।

 

বিনীত নিবেদক,
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম
আপনার ঠিকানা লিখুন
মোবাইল: ০১৭——–

 

আপনার সমস্যার উপর নির্ভর করে, আপনি উপরের উদাহরণটি দেখে ম্যানেজারের নিকট একটি আবেদন পত্র লিখতে পারেন। এছাড়াও আপনি যদি আমাদের আবেদন ফর্মটি হুবহু কপি করে নেন, তাহলে আপনার সমস্যা হতে পারে। এই কারণে, এখানে নমুনা পত্রের মাধ্যমে ম্যানেজারের নিকট আপনার নিজের আবেদন পত্র লিখুন।

আরও পড়ুন – ব্যবসায়িক ঋণ কি, ব্যবসায়িক ব্যাংক ঋণের জন্য আবেদন পত্র।