প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক হতে পারে, লক্ষণগুলো জেনে নিন
ভাদ্র মাসে শুরু হওয়া ভ্যাপসা গরম আশ্বিন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত থাকে। এই সময়ে খুব গরম এবং আবহাওয়া জ্বলন্ত অবস্থায় থাকে। আবহাওয়াবিদদের মতে, বাতাসে জলীয় বাষ্পের কারনে এই সময়ে খুব গরম থাকে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে, তাপমাত্রা কখনও কখনও ৪০-৪৫ ডিগ্রিতে পৌঁছায়। এই চরম তাপ কিছু মানুষের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
একদিকে তীব্র রোদ আর গরম, তার উপরে রোদে ঘুরে বেড়ানো, সব মিলিয়ে এই সময়ে অনেকেই হিট স্ট্রোকের সম্মুখীন হতে পারেন। হিটস্ট্রোকের লক্ষণগুলো এবং কীভাবে এটি প্রতিরোধ করা যায় তা আলোচনা করা হল-
হিটস্ট্রোকের লক্ষণ কি?
- ঘাম বন্ধ হওয়া হিট-স্ট্রোকের অন্যতম লক্ষণ।
- হিট স্ট্রোকের আগে ত্বক শুষ্ক ও লাল হয়ে যায়।
- হিট স্ট্রোকের আগে রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়।
- এই সময়ে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তাই প্রস্রাবের পরিমাণও কমে যায়।
- হিটস্ট্রোকের সময় পালস খুব দ্রুত হয়ে যায়।
- মাথা ঝিমঝিম এবং শরীরে খিঁচুনি হতে পারে।
- গরমে স্ট্রোকের আগে বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
- শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়।
- এই সময়ে তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) বা তার বেশি হতে পারে।
হিটস্ট্রোক প্রতিরোধের উপায়?
১/ গরমে সব সময় হালকা রঙের এবং ঢিলেঢালা পোশাক পড়ুন। যাতে শরীরে সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারে।
২/ হিট স্ট্রোকের ক্ষেত্রে রোগীকে দ্রুত ঠান্ডা পরিবেশে নিয়ে আসতে হবে। সম্ভব হলে ঘরের মধ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্থানে রাখুন।
৩/ রোগীর শরীরের তাপমাত্রা যে কোনোভাবেই কমিয়ে আনতে হবে। সম্ভব হলে ঠান্ডা পানি বা বরফ কুচি শরীরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দিন।
৪/ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর পানিতে ভিজানো কাপড় দিয়ে বারবার মুছুন। প্রয়োজনে ভেজা কাপড় দিয়ে কিছুক্ষণ জড়িয়ে রাখুন।
৫/ যদি ব্যবস্থা থাকে তাহলে ঘরে ফ্যান বা এসি চালিয়ে রোগীকে সেখানে রাখুন।
৬/ যারা দিনের বেশিরভাগ সময় বাইরে খোলা আকাশের নিচে কাটান বা রোদে ঘোরাফেরা করেন তাদের উচিত তাপ সম্পর্কে সচেতন হওয়া। কাজের ফাকে স্বল্প বিরতি নিয়ে তারপর পুনরায় আবার কাজ করুন।
৭/ প্রাথমিক পর্যায়ে হিটস্ট্রোক মোকাবেলার পর রোগীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।