নতুন পোষ্টের বিজ্ঞপ্তি পেতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করুন!

আপনি কি গোড়ালি ফাটা সমস্যায় ভুগছেন তাহলে ঘরোয়া সমাধান জেনে নিন

গোড়ালি ফাটা সমস্যায় ভুগছেন

শীতে পা ফাটা সমস্যা নতুন কিছু নয়। শুষ্ক বাতাসে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়, তখন খোলা স্যান্ডেলে ফাটা গোড়ালি দেখানো আরও কঠিন হয়ে পড়ে। তাই শীতের শুরু থেকেই ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। শীতকালে আর্দ্রতার অভাবে হাত-পায়ের ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। ফলে পা ফাটা সমস্যা তৈরি হয়। সুন্দর পোশাক, দুর্দান্ত চুলের স্টাইলও কিন্তু ফাটা গোড়ালি দেখা গেলে সবই মাটি হয়ে যায়। তাই এখনই পায়ের বিশেষ যত্ন নেওয়া শুরু করুন।

পায়ের গোড়ালি ফাটা এর কারণগুলো কি?

– শরীরে ভিটামিনের অভাব হলে পা ফাটা সমস্যা হতে পারে। মানবদেহে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক এবং আয়রনের অভাব পায়ের গোড়ালি ফাটার অন্যতম কারণ।

– পানিশূন্যতার কারণে মানুষের শরীরের বিশেষ অঙ্গ ফেটে যেতে পারে। ডিহাইড্রেশন দূর করতে প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।

– খুব গরম পানিতে গোসল করা, ধুলাবালি, দীর্ঘক্ষণ পায়ের যত্ন না নেওয়া, অপরিষ্কার জুতা পরা, অতিরিক্ত পুষ্টির অভাবে পায়ের গোড়ালি ফাটার সমস্যা তৈরি হওয়ার প্রধান কারণ।

– ডায়াবেটিস রোগীদের স্নায়ুবিক সমস্যা সৃষ্টির ফলে তাদের পায়ের আর্দ্রতা হারায়। ফলে পায়ের গোড়ালি ফাটতে পারে।

– অল্প ফেটে গেছে এমন জায়গার চামড়াকে জোরে জোরে টেনে তোলা বা ছিঁড়ে দেওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকুন।

– অনেকের আবার জেনেটিক সমস্যাও হতে পারে। অর্থাৎ, পিতা, চাচা, মায়ের এই সমস্যা থাকলে, পুত্র-কন্যা এবং বংশ পরম্পরায় পেয়ে থাকে এই সমস্যা।

– পা প্রতিদিন পরিষ্কার না করা, ভ্যাসলিন বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পর তা ঠিকমতো পরিষ্কার না করেই, আবার লোশন, ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে।

পা ফাটা বা গোড়ালি ফাটা সমস্যা থেকে বাঁচার উপায়:-

১/ পা ফাটা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গোসলের সময় বিশেষ যত্ন নিন। গোসল করার সময়, ধুন্দলের খোসা এবং সাবান দিয়ে আপনার পা ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। এছাড়া পিউমিস থাকলে তো আরো ভালো। গোড়ালি নরম রাখার চেষ্টা করুন, তৈলাক্ত জেল বা ক্রিম লাগান। আপনি তেলও ব্যবহার করতে পারেন। আপনার যদি নারকেল তেল থাকে তবে আপনি এটি আপনার পা এবং গোড়ালিতে ম্যাসাজ করতে পারেন। তিলের তেল বা বাদামের তেল ত্বক নরম করার জন্য অনেক ভালো। চাইলে আপনি সরিষার তেলও লাগাতে পারেন। শুধু গোসলের সময় নয়, বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে আসার পরও গরম পানি এবং সাবান দিয়ে আপনার পা ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। তারপর একটি শুকনো তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে পায়ের পানি মুছে নিন। এবার ময়েশ্চারাইজার বা ভালোমানের পায়ের ক্রিম লাগান। আপনি একটি ফুট স্ক্রাবার এবং পায়ের মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। আপনি বাড়িতে হলুদ, দই, দুধের সর, এবং বেসন দিয়ে আপনার গোড়ালির যত্ন নিতে পারেন। ফুট স্ক্র্যাবিংয়ের মাধ্যমেও শুরু করতে পারেন পায়ের যত্ন।

২/ একটি পাত্রে, আপনার পা কুসুম গরম পানিতে, আধা চা চামচ নারকেল তেল এবং এক চিমটি লবণ ১০ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখুন। এবার পিউমিস স্টোন দিয়ে বা ধারালো পাথর দিয়ে গোড়ালি ও পা ভালো করে ঘষুন। পায়ের ফাটা অংশে ময়লা জমে গেলে এক টেবিল চামচ মধু ও ভিনেগারের সঙ্গে দুই-তিন চা চামচ চালের গুঁড়ো মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। হালকা করে কিছুক্ষণ ঘষে তারপর ধুয়ে ফেলুন। এটি সহজেই পায়ের গোড়ালি থেকে মৃত কোষ এবং ধুলো অপসারণ করবে। তারপর একটি পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে জেল বা ক্রিম লাগান। এতে পা ফাটা সমস্যা খুব সহজেই দূর হবে।

২/ পায়ের ফাটল কমে যাওয়ার সাথে সাথে পায়ের ত্বক নরম এবং মসৃণ করতে হবে। শীতে ত্বক নরম রাখতে প্রয়োজন ময়েশ্চার। সুন্দর নরম গোড়ালির জন্য, বাড়িতে বেসনের সাথে দুধের সর, মধু, হলুদ বাটা মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করতে পারেন। এই পেস্ট গোড়ালিতে লাগিয়ে ভেজা হাত দিয়ে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া একটি পাকা কলা নিয়ে তাতে সামান্য নারকেল তেল ও দুধ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে গোড়ালিতে লাগান। ১০ মিনিট পর পরিস্কার পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন। আপনি গোলাপ জল এবং গ্লিসারিন মিশিয়েও পায়ে লাগাতে পারেন।

৩/ সামান্য লবণ এবং শ্যাম্পু দিয়ে পরিস্কার হালকা গরম পানিতে পা ডুবিয়ে বিশ্রাম নিন। সারাদিনের ক্লান্তি চলে যাবে। আবার, গোড়ালিতে জমে থাকা ধুলো এবং ময়লা সহজেই পরিষ্কার হবে। তারপর ক্রিম, জেল বা লোশন দিয়ে ম্যাসাজ করুন। যদি পায়ে অতিরিক্ত ক্রিম লেগে থাকে তবে এটি একটি পাতলা কাপড় বা টিস্যু দিয়ে মুছুন। ক্রিমের পরিবর্তে এর সাথে পেট্রোলিয়াম জেলি বা লেবুর রস মিশিয়ে পায়ের ফাটা অংশে লাগাতে পারেন এতেও এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে পারবেন।

৪/ অ্যালোভেরায় ভিটামিন এ, সি এবং ই রয়েছে। এ কারণে অ্যালোভেরা জেল ত্বকের জন্য খুবই কার্যকর। পরিস্কার গরম পানিতে আপনার পা ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং পাথর ঘষে আপনার গোড়ালি পরিস্কার করতে পারেন। তারপর এই জেলটি পায়ের তলায় ঘন করে লাগিয়ে দিন। তারপর মোজা পরে বিছানায় ঘুমিয়ে যান। সকালে উঠে পরিস্কার কুসুম গরম পানিতে পা ভালোভাবে ধুয়ে নিন।

৫/ অলিভ অয়েল, তিলের তেল, নারকেল তেল, সরিষার তেল এবং বাদাম তেল পা ফাটা সমস্যা এর জন্য সবচেয়ে ভালো সমাধান। আপনি রাতে যেকোনো উদ্ভিজ্জ তেল লাগিয়ে ঘুমাতে পারেন। এতে পা ফাটা সমস্যা অনেক কমে যাবে।

আপনার কাছে অনুরোধ
আমি আপনাদের কাছে নিয়মিত সেরামানের কন্টেন্ট শেয়ার করার চেষ্টা করছি। দয়া করে একটি বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে ২০ সেকেন্ড দেখুন এবং আমাদের সাহায্য করুন।
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.