বেশি পরিমানে খাবার খাওয়া শরীর মোটা হওয়ার কারণ নয়! জরিপ বলছে

শরীর মোটা হওয়ার কারণ

শরীর মোটা হওয়া বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ৫০ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ স্থুলতার শিকার। অতিরিক্ত ওজন হ’ল হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিস সহ সমস্ত গুরুতর রোগের কারণ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সবাইকে স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখার পরামর্শ দেন। এর জন্য প্রয়োজন সুষম খাদ্য এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। স্থুলতা থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হল আপনার জীবনধারা পরিবর্তন করা।

বর্তমানে অনেকেই ওজন কমানোর দৌড়ে দৌড়াচ্ছেন। কেউ ওজন মাপছে আর কেউ খাবার খাচ্ছে না। কিন্তু তারা কতটা উপকৃত হচ্ছে?

তবে আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, অতিরিক্ত পরিমানে খাবার খাওয়ার কারনই শরীর মোটা হওয়ার প্রধান কারণ মনে করি। তবে, একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে যে আপনি কতটা খান তার সাথে স্থুলতার কোন সম্পর্ক নেই। আসলেই কি তাই?

আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত নতুন গবেষণায় কার্যকর ওজন কমানোর জন্য একটি বিকল্প পদ্ধতি তুলে ধরেছে।

গবেষকরা বলছেন, ওজন বৃদ্ধি বা স্থুলতার আপনি কতটা খান তার সাথে সম্পর্কিত নয়। বরং এটা নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের খাবার গ্রহণ করছেন তার উপর।

গবেষকরা আরও বলেন, করোনা এর সময় স্থুলতার সমস্যা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। কারণ মহামারির এ সময় খাদ্যাভ্যাসে ও জীবনধারায় পরিবর্তন এসেছে সবার মাঝেই।

গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রত্যেকেই বর্তমানে উচ্চ গ্লাইসেমিক এর মাত্রা, প্রক্রিয়াজাত এবং কার্বস/স্টার্চ সমৃদ্ধ খাবারের প্রতি আসক্ত। এই খাবারগুলো আমাদের মেটাবলিজম কমিয়ে দেয়। ফলস্বরূপ, শরীরে চর্বি জমে, এবং ওজন বৃদ্ধি পায়।

বোস্টন শিশু হাসপাতালের এন্ডোক্রিনোলজিস্ট এবং হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অধ্যাপক ড. ডেভিড লুডভিগের মতে, কম চর্বিযুক্ত খাবার দ্রুত হজমযোগ্য কার্বোহাইড্রেটের ব্যবহার কমিয়ে দেয়।

যা শরীরের চর্বি সংরক্ষণের অন্তর্নিহিত প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। এটি ক্ষুধা হ্রাস করে এবং দ্রুত ওজন কমাতে শুরু করে। তাই আপনি কতটা খাচ্ছেন তা পরিমাপ করার পরিবর্তে, আপনি কী খাচ্ছেন সেদিকে বেশি নজর রাখুন।

পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
মন্তব্য নেই
মন্তব্য যোগ করুন
comment url