![]() |
বর্তমানে অনেকেই হৃদরোগে ভুগছেন। দুশ্চিন্তা, গভীর রাতে ঘুমানো, অনিয়মিত খাওয়া এবং ব্যায়ামের অভাব হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অতএব, হৃদরোগের চিকিৎসার মতোই জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করা গুরুত্বপূর্ণ।
অনেকে মনে করেন যে, শুধুমাত্র বয়স্কদেরই শুধু হৃদরোগ হয়। তবে, এই ধারণা সমপূর্ণ ভুল। এখন তরুণরাও এই সমস্যায় ভুগছে। যদি মাঝ রাতে হঠাৎ বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি হয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনার হৃদয়ে সমস্যা আছে।
ভুল জীবনযাত্রার কারণে অনেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। তার মধ্যে একটি হল ঠান্ডা পানিতে গোসল করা। তবে ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, ফলে হার্টবিটও বেড়ে যায়। অন্য কথায়, ঠান্ডা পানি ব্যবহারের ফলে প্রতিক্রিয়ায় গভীর শ্বাস -প্রশ্বাস ঘটায় যা শরীরে অক্সিজেন গ্রহণ বৃদ্ধি করে।
আপনার যদি হার্ট অ্যাটাক হয়, তাহলে আপনার দৈনন্দিন জীবনে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। এমনকি যদি আপনি গরম বা ঠান্ডা পানিতে গোসল করেন তবে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে।
হার্টের রোগীদের প্রতিদিন গোসল করা উচিত। কিন্তু তারা কি গরম বা ঠান্ডা পানিতে গোসল করবে? ঠান্ডা পানিতে নিয়মিত গোসল করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। তাই হৃদরোগীদের একটু বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন এবং ঘুম ভালো হয়। তবে গভীর ঘুম হয় না। আর গরম পানিতে গোসল করলে শরীরে প্রশান্তি আসে এবং ঘুম ভালো হয়। আপনি চিন্তামুক্ত থাকতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠান্ডা পানিতে গোসল করা হৃদরোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এর কারণ হল, ঠান্ডা পানির প্রতি শরীরের প্রতিক্রিয়া হৃদয়ের উপর বেশি প্রভাব ফেলে এবং অনিয়মিত হৃদস্পন্দন সৃষ্টি করতে পারে। যা হার্টের জন্য খুবই বিপজ্জনক।
যাইহোক, যদি আপনি ঠান্ডা পানিতে গোসল করেন, তাহলে প্রথমেই আপনার শরীরে ঠান্ডা পানি ঢালবেন না। হালকা গরম পানি দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা একটু কমিয়ে দিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, হৃদরোগীদের হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল শুরু করা এবং তারপর ত্বকে ঠান্ডা পানি ঢালুন। এতে শরীরের প্রতিক্রিয়া হৃদয়ের উপর ক্ষতিকর কোন প্রভাব ফেলবে না।