হাইব্রিড লাউ চাষ পদ্ধতি কি? ও এই লাউয়ের জাতের ফলন কেমন

হাইব্রিড লাউ চাষ

হাইব্রিড লাউ চাষ: হাইব্রিড লাউ হলো একটি উন্নত জাতের লাউ যা উচ্চ ফলনশীল, রোগ-প্রতিরোধী এবং সুস্বাদু। হাইব্রিড লাউ সাধারণত বোতল আকৃতির হয় এবং এর রঙ সবুজ বা সাদা হয়। হাইব্রিড লাউতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। হাইব্রিড লাউ বিভিন্নভাবে রান্না করা যায়, যেমন- ভাজা, সেদ্ধ, ভর্তা, তরকারি ইত্যাদি।

হাইব্রিড লাউ আবাদের জন্য উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া প্রয়োজন। লাউ চাষের জন্য দো-আঁশ মাটি সবচেয়ে ভাল। হাইব্রিড লাউ বীজ বপন থেকে ফসল তোলার সময়কাল সাধারণত ৬০-৭০ দিন।

হাইব্রিড লাউ চাষ এ ফলন কেমন?

হাইব্রিড লাউ চাষ এর ফলন সাধারণ লাউ চাষের চেয়ে অনেক বেশি। একটি হাইব্রিড লাউ গাছ থেকে আপনি ১০-১৫ কেজি পর্যন্ত ফলন পেতে পারেন। এই জাতের লাউ চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জমি, সার, সেচ এবং অন্যান্য পরিচর্যা সঠিকভাবে করা হলে আপনি ভালো ফলন পাবেন।

লাউ চাষের কিছু ফলাফল হল:

  • বেশি ফলন: হাইব্রিড লাউ সাধারণ লাউয়ের তুলনায় বেশি ফলন দেয়। একটি হাইব্রিড লাউ গাছ থেকে আপনি ১০-১৫ কেজি পর্যন্ত ফলন পেতে পারেন।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: হাইব্রিড লাউ সাধারণ লাউয়ের তুলনায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকে। তাই আপনি এই লাউ চাষ করে রোগের আক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
  • দ্রুত বৃদ্ধি: হাইব্রিড লাউ সাধারণ লাউয়ের তুলনায় দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তাই আপনি এই জাতের লাউ চাষ করে দ্রুত ফলন পেতে পারেন।

লাউ চাষের জন্য কিছু টিপস হল:

  • ভালো জাতের হাইব্রিড বীজ নির্বাচন করুন।
  • জমি ভালোভাবে চাষ করে নিন।
  • জমিতে পর্যাপ্ত সার প্রয়োগ করুন।
  • নিয়মিত সেচ দিন।
  • আগাছা পরিষ্কার করুন।
  • রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে গাছকে রক্ষা করুন।
  • ফল সংগ্রহ করুন যখন ফল পরিপক্ব হয়।

হাইব্রিড লাউ চাষ করে আপনি ভালো ফলন পেতে পারেন এবং আপনার পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারেন।

হাইব্রিড লাউ চাষ এ মাটির ধরণ

এই জাতের লাউ চাষে মাটির ধরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই জাতের লাউ চাষের জন্য দোআঁশ মাটি সবচেয়ে ভাল। দোআঁশ মাটিতে জল নিষ্কাশন ভাল হয় এবং মাটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈব পদার্থ থাকে। এই লাউ চাষের জন্য মাটিতে পিএইচ মান ৬.০ থেকে ৭.০ হওয়া উচিত। যদি মাটির পিএইচ মান বেশি বা কম হয় তাহলে লাউ গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে।

হাইব্রিড লাউ চাষের জন্য মাটি তৈরি করার সময় জৈব পদার্থ যেমন গোবর সার, কম্পোস্ট সার, পাতা সার ইত্যাদি প্রয়োগ করতে হবে। জৈব পদার্থ মাটিকে উর্বর করে তোলে এবং মাটির জল ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এই জাতীয় লাউ চাষের জন্য মাটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সার প্রয়োগ করতে হবে। সার প্রয়োগ করার সময় সার গাছের গোড়া থেকে দূরে প্রয়োগ করতে হবে।

উন্নত সকল জাতের লাউ চাষের জন্য মাটিতে গজানো আগাছা পরিষ্কার রাখতে হবে। আগাছা গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত করে এবং মাটি থেকে পানি ও পুষ্টি উপাদান শোষণ করে। আর অবশ্যই লাউ চাষের জন্য মাটিতে নিয়মিত সেচ দিতে হবে। হাইব্রিড লাউ গাছ প্রচুর পরিমাণে পানি গ্রহণ করে। তাই মাটিতে পানি না থাকলে গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে।

হাইব্রিড লাউ চাষ এর সময়?

হাইব্রিড লাউ চাষ এর জন্য সবচেয়ে ভাল সময় হল গ্রীষ্মকাল। লাউ চাষের জন্য জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সূর্যালোক পাওয়া উচিত ও লাউ চাষের জন্য জমিতে তাপমাত্রা ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়া উচিত। এই জাতের লাউ চাষের জন্য জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আর্দ্রতা থাকা উচিত এবং সময়মতো লাউ চাষের জমিতে গজানো আগাছা পরিষ্কার থাকা উচিত।

এই লাউ চাষের জন্য জমিতে বীজ বপন করতে হবে। বীজ বপনের সময় জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল দিতে হবে। বীজ বপনের পর বীজ গজানোর জন্য 2 থেকে 3 সপ্তাহ সময় লাগবে। বীজ গজানোর পর গাছের যত্ন নিতে হবে। গাছের যত্নের মধ্যে রয়েছে নিয়মিত সেচ দেওয়া, সার দেওয়া, আগাছা পরিষ্কার করা এবং রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করা।

হাইব্রিড লাউ গাছ 3 থেকে 4 মাসের মধ্যে ফল দিতে শুরু করবে। হাইব্রিড লাউ ফল পরিপক্ব হলে সংগ্রহ করতে হবে। হাইব্রিড লাউ ফল সংগ্রহ করার সময় ফলকে কেটে নিতে হবে। হাইব্রিড লাউ ফলকে ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে।

হাইব্রিড লাউয়ের জাত নির্বাচন

হাইব্রিড লাউয়ের জাত নির্বাচন করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে জাতটি যেখানে চাষ করা হবে সেখানকার আবহাওয়া এবং মাটিতে উপযুক্ত কিনা। এছাড়াও জাতটি যেন রোগ-প্রতিরোধী এবং ফলনশীল হয়।

হাইব্রিড লাউয়ের কিছু জনপ্রিয় জাত হলো:

  • বিলম্বী
  • সুলতানা
  • শীতকালীন লাউ
  • গ্রীষ্মকালীন লাউ
  • লম্বা লাউ
  • গোলাকার লাউ
  • লম্বা ও গোলাকার লাউ

এই জাতের লাউগুলি সাধারণত রোগ-প্রতিরোধী এবং ফলনশীল হয়। এগুলি বিভিন্ন আবহাওয়া এবং মাটিতে চাষ করা যায়।

হাইব্রিড লাউয়ের জাত নির্বাচন করার সময় অবশ্যই স্থানীয় কৃষি অফিসে পরামর্শ নেওয়া উচিত।

হাইব্রিড লাউয়ের জাত নির্বাচন করার সময় এখানে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে:

  • আবহাওয়া: হাইব্রিড লাউয়ের বিভিন্ন জাত বিভিন্ন আবহাওয়ার জন্য উপযুক্ত। যেখানে আপনি লাউ চাষ করতে চান সেখানকার আবহাওয়া বিবেচনা করে জাত নির্বাচন করুন।
  • মাটি: হাইব্রিড লাউ বিভিন্ন ধরনের মাটিতে চাষ করা যায়। তবে কিছু জাতের লাউ নির্দিষ্ট ধরনের মাটিতে ভালো ফলন দেয়। যেখানে আপনি লাউ চাষ করতে চান সেখানকার মাটি বিবেচনা করে জাত নির্বাচন করুন।
  • রোগ-প্রতিরোধীতা: হাইব্রিড লাউ বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রতিরোধী। তবে কিছু জাতের লাউ অন্যান্য জাতের তুলনায় বেশি রোগ-প্রতিরোধী। যদি আপনি রোগ-প্রতিরোধী লাউ চাষ করতে চান তাহলে সেই জাতের লাউ নির্বাচন করুন।
  • ফলন: হাইব্রিড লাউ বিভিন্ন ধরনের ফলন দেয়। কিছু জাতের লাউ অন্যান্য জাতের তুলনায় বেশি ফলন দেয়। যদি আপনি বেশি ফলন পেতে চান তাহলে সেই জাতের লাউ নির্বাচন করুন।

এছাড়াও, আপনি যদি স্থানীয় কৃষি অফিসে পরামর্শ নেন তাহলে তারা আপনাকে আপনার এলাকার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত জাতের হাইব্রিড লাউ নির্বাচন করতে সাহায্য করতে পারে।

হাইব্রিড লাউয়ের চারা তৈরী

হাইব্রিড লাউয়ের চারা তৈরি করার জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করুন:

১. হাইব্রিড লাউয়ের বীজ সংগ্রহ করুন।

২. একটি বীজতলা তৈরি করুন। বীজতলাটি উঁচু এবং সমতল হতে হবে। মাটিটি ঝুরঝুরে এবং পানি নিষ্কাশন ভাল হওয়া উচিত।

৩. বীজতলায় বীজ বপন করুন। বীজ বপনের গভীরতা ১/২ ইঞ্চি হওয়া উচিত।

৪. বীজতলাটিকে পানি দিন। বীজতলাটিকে ভেজা রাখুন, কিন্তু স্যাঁতসেঁতে না।

৫. বীজ অঙ্কুরিত হতে ২-৩ সপ্তাহ সময় লাগবে।

৬. বীজ অঙ্কুরিত হলে চারাটি পাতলা করে ফেলুন। প্রতিটি চারা থেকে ১২-১৮ ইঞ্চি দূরত্বে রাখুন।

৭. চারাগুলিকে নিয়মিত পানি দিন। চারাগুলিকে সূর্যের আলো পায় কিনা তা নিশ্চিত করুন।

৮. চারাগুলিকে সার দিন। চারাগুলিকে সার দেওয়ার সময় ইউরিয়া, টিএসপি এবং এমওপি সার ব্যবহার করুন।

৯. চারাগুলিকে রোগ এবং পোকামাকড় থেকে রক্ষা করুন। চারাগুলিকে রোগ এবং পোকামাকড় থেকে রক্ষা করার জন্য কীটনাশক ব্যবহার করুন।

১০. চারাগুলি বড় হলে সেগুলিকে মাঠে রোপণ করুন। চারাগুলিকে মাঠে রোপণের সময় প্রতিটি চারা থেকে ১২-১৮ ইঞ্চি দূরত্বে রাখুন।

১১. চারাগুলিকে নিয়মিত পানি দিন। চারাগুলিকে সূর্যের আলো পায় কিনা তা নিশ্চিত করুন।

১২. চারাগুলিকে সার দিন। চারাগুলিকে সার দেওয়ার সময় ইউরিয়া, টিএসপি এবং এমওপি সার ব্যবহার করুন।

১৩. চারাগুলিকে রোগ এবং পোকামাকড় থেকে রক্ষা করুন। চারাগুলিকে রোগ এবং পোকামাকড় থেকে রক্ষা করার জন্য কীটনাশক ব্যবহার করুন।

১৪. চারাগুলি ফল ধরতে শুরু করলে নিয়মিত ফল তোলা শুরু করুন। ফলগুলিকে যখন তারা ছোট এবং নরম থাকে তখনই তোলা উচিত।

হাইব্রিড লাউ চাষ এর জন্য কিছু টিপস:

  • হাইব্রিড লাউ এর জন্য উঁচু এবং সমতল জমি নির্বাচন করুন।
  • মাটিতে পর্যাপ্ত জৈব সার প্রয়োগ করুন।
  • মাটিতে পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকতে হবে।
  • চারাগুলিকে নিয়মিত পানি দিন।
  • চারাগুলিকে সূর্যের আলো পায় কিনা তা নিশ্চিত করুন।
  • চারাগুলিকে সার দিন।
  • চারাগুলিকে রোগ এবং পোকামাকড় থেকে রক্ষা করুন।
  • চারাগুলিকে নিয়মিত ফল তোলা শুরু করুন।

হাইব্রিড লাউ চাষ এ জমি প্রস্তুতকরন

লাউ চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করা উচিত:

  • জমিটি উঁচু এবং সমতল হওয়া উচিত।
  • জমিতে পর্যাপ্ত সূর্যালোক পাওয়া উচিত।
  • জমিতে পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকতে হবে।
  • জমিতে পর্যাপ্ত জৈব সার প্রয়োগ করা উচিত।
  • জমিতে পোকামাকড় এবং রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য কীটনাশক এবং ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করা উচিত।

লাউ চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করার পদ্ধতি নিম্নরূপ:

  • জমিকে ভালোভাবে চাষ করে মাটি ঝুরঝুরে করে নিন।
  • জমিতে গোবর সার, কম্পোস্ট সার, ছাই ইত্যাদি জৈব সার প্রয়োগ করুন।
  • জমিতে পোকামাকড় এবং রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য কীটনাশক এবং ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করুন।
  • জমিকে ভালোভাবে জল দিয়ে মাটি ভিজিয়ে দিন।

হাইব্রিড লাউ চাষ এর জন্য জমি প্রস্তুত করার সময় অবশ্যই মাটির পিএইচ মান পরীক্ষা করে নিন। মাটির পিএইচ মান ৬-৭ হলে ভালো হয়। যদি মাটির পিএইচ মান বেশি বা কম হয় তাহলে জৈব সার প্রয়োগ করে মাটির পিএইচ মান ৬-৭ এ সমন্বয় করুন।

হাইব্রিড লাউ চাষ এ মাদা তৈরী ও সার প্রয়োগ

হাইব্রিড লাউয়ের মাদা তৈরী করার জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করুন:

১. একটি উঁচু এবং সমতল স্থান নির্বাচন করুন।

২. মাটিকে ভালোভাবে চাষ করে মাটি ঝুরঝুরে করে নিন।

৩. মাটিতে গোবর সার, কম্পোস্ট সার, ছাই ইত্যাদি জৈব সার প্রয়োগ করুন।

৪. মাটিকে ভালোভাবে জল দিয়ে মাটি ভিজিয়ে দিন।

৫. মাটিতে বীজ বপন করুন।

৬. বীজ বপন করার পর মাটিতে পাতলা করে মাটি চাপা দিন।

৭. মাটিকে ভালোভাবে জল দিয়ে মাটি ভিজিয়ে দিন।

৮. বীজ অঙ্কুরিত হতে ২-৩ সপ্তাহ সময় লাগবে।

৯. বীজ অঙ্কুরিত হলে চারাটি পাতলা করে ফেলুন। প্রতিটি চারা থেকে ১২-১৮ ইঞ্চি দূরত্বে রাখুন।

১০. চারাগুলিকে নিয়মিত পানি দিন। চারাগুলিকে সূর্যের আলো পায় কিনা তা নিশ্চিত করুন।

১১. চারাগুলিকে সার দিন। চারাগুলিকে সার দেওয়ার সময় ইউরিয়া, টিএসপি এবং এমওপি সার ব্যবহার করুন।

১২. চারাগুলিকে রোগ এবং পোকামাকড় থেকে রক্ষা করুন। চারাগুলিকে রোগ এবং পোকামাকড় থেকে রক্ষা করার জন্য কীটনাশক ব্যবহার করুন।

১৩. চারাগুলি বড় হলে সেগুলিকে মাঠে রোপণ করুন। চারাগুলিকে মাঠে রোপণের সময় প্রতিটি চারা থেকে ১২-১৮ ইঞ্চি দূরত্বে রাখুন।

১৪. চারাগুলিকে নিয়মিত পানি দিন। চারাগুলিকে সূর্যের আলো পায় কিনা তা নিশ্চিত করুন।

১৫. চারাগুলিকে সার দিন। চারাগুলিকে সার দেওয়ার সময় ইউরিয়া, টিএসপি এবং এমওপি সার ব্যবহার করুন।

১৬. চারাগুলিকে রোগ এবং পোকামাকড় থেকে রক্ষা করুন। চারাগুলিকে রোগ এবং পোকামাকড় থেকে রক্ষা করার জন্য কীটনাশক ব্যবহার করুন।

১৭. চারাগুলি ফল ধরতে শুরু করলে নিয়মিত ফল তোলা শুরু করুন। ফলগুলিকে যখন তারা ছোট এবং নরম থাকে তখনই তোলা উচিত।

হাইব্রিড লাউয়ের মাদায় সার প্রয়োগ করার জন্য নিম্নলিখিত সারগুলি ব্যবহার করুন:

  • ইউরিয়া: ইউরিয়া হলো নাইট্রোজেনের একটি উৎস। নাইট্রোজেন লাউয়ের বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়।
  • টিএসপি: টিএসপি হলো ফসফরাস এবং পটাশের একটি উৎস। ফসফরাস লাউয়ের শিকড়ের বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়। পটাশ লাউয়ের ফলন বৃদ্ধি এবং ফলের গুণমানের জন্য প্রয়োজনীয়।
  • কম্পোস্ট সার: কম্পোস্ট সার হলো একটি জৈব সার। কম্পোস্ট সার মাটিকে উর্বর করে তোলে এবং মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
  • ছাই: ছাই হলো একটি খনিজ সার। ছাই মাটিকে উর্বর করে তোলে এবং মাটিতে পোকামাকড় এবং রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

হাইব্রিড লাউয়ের মাদায় সার প্রয়োগ করার সময় অবশ্যই মাটির পিএইচ মান পরীক্ষা করে নিন। মাটির পিএইচ মান ৬-৭ হলে ভালো হয়। যদি মাটির পিএইচ মান বেশি বা কম হয় তাহলে জৈব সার প্রয়োগ করে মাটির পিএইচ মান ৬-৭ এ সমন্বয় করুন।

হাইব্রিড লাউয়ের চারা রোপন

হাইব্রিড লাউয়ের চারা রোপনের জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করুন:

১. যখন বীজ থেকে চারা গজানো শুরু করে এবং কমপক্ষে ২-৩ পাতা হয়, তখন চারাগুলিকে মাঠে রোপনের জন্য প্রস্তুত করুন।

২. মাঠে রোপণের জন্য একটি উঁচু এবং সমতল জমি নির্বাচন করুন।

৩. মাটিকে ভালোভাবে চাষ করে মাটি ঝুরঝুরে করে নিন।

৪. মাটিতে গোবর সার, কম্পোস্ট সার, ছাই ইত্যাদি জৈব সার প্রয়োগ করুন।

৫. মাটিকে ভালোভাবে জল দিয়ে মাটি ভিজিয়ে দিন।

৬. মাঠে প্রতিটি চারা থেকে ১২-১৮ ইঞ্চি দূরত্বে এবং সারি থেকে সারি ২৪-৩০ ইঞ্চি দূরত্বে গর্ত তৈরি করুন।

৭. গর্তগুলিতে চারাগুলি রোপণ করুন।

৮. চারাগুলিকে ভালোভাবে জল দিয়ে মাটি ভিজিয়ে দিন।

৯. চারাগুলিকে নিয়মিত পানি দিন। চারাগুলিকে সূর্যের আলো পায় কিনা তা নিশ্চিত করুন।

১০. চারাগুলিকে সার দিন। চারাগুলিকে সার দেওয়ার সময় ইউরিয়া, টিএসপি এবং এমওপি সার ব্যবহার করুন।

১১. চারাগুলিকে রোগ এবং পোকামাকড় থেকে রক্ষা করুন। চারাগুলিকে রোগ এবং পোকামাকড় থেকে রক্ষা করার জন্য কীটনাশক ব্যবহার করুন।

১২. চারাগুলি ফল ধরতে শুরু করলে নিয়মিত ফল তোলা শুরু করুন। ফলগুলিকে যখন তারা ছোট এবং নরম থাকে তখনই তোলা উচিত।

হাইব্রিড লাউয়ের চারা রোপনের সময় অবশ্যই মাটির পিএইচ মান পরীক্ষা করে নিন। মাটির পিএইচ মান ৬-৭ হলে ভালো হয়। যদি মাটির পিএইচ মান বেশি বা কম হয় তাহলে জৈব সার প্রয়োগ করে মাটির পিএইচ মান ৬-৭ এ সমন্বয় করুন।

হাইব্রিড লাউয়ের চারা রোপনের সময় অবশ্যই মাটির আর্দ্রতা বজায় রাখুন। মাটি শুকিয়ে গেলে চারাগুলি মারা যেতে পারে।

হাইব্রিড লাউয়ের চারা রোপনের সময় অবশ্যই সূর্যের আলোর ব্যবস্থা করুন। হাইব্রিড লাউয়ের চারাগুলিকে পূর্ণ সূর্যের আলোর প্রয়োজন।

হাইব্রিড লাউয়ের চারা রোপনের সময় অবশ্যই পোকামাকড় এবং রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা করুন। হাইব্রিড লাউয়ের চারাগুলিকে পোকামাকড় এবং রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য কীটনাশক ব্যবহার করুন।

হাইব্রিড লাউয়ের চারা পরিচর্যা

হাইব্রিড লাউয়ের চারা পরিচর্যা করার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করা উচিত:

  • পানি: হাইব্রিড লাউয়ের চারাগুলিকে নিয়মিত পানি দিতে হবে। মাটি শুকিয়ে গেলে চারাগুলি মারা যেতে পারে।
  • সার: হাইব্রিড লাউয়ের চারাগুলিকে সার দিতে হবে। সার দেওয়ার সময় ইউরিয়া, টিএসপি এবং এমওপি সার ব্যবহার করুন।
  • আগাছা: হাইব্রিড লাউয়ের চারাগুলির চারপাশে আগাছা পরিষ্কার রাখুন। আগাছা চারাগুলির পুষ্টি গ্রহণে বাধা দেয়।
  • পোকামাকড় এবং রোগ: হাইব্রিড লাউয়ের চারাগুলিকে পোকামাকড় এবং রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা করুন। পোকামাকড় এবং রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য কীটনাশক ব্যবহার করুন।
  • ফল তোলা: হাইব্রিড লাউয়ের চারাগুলি যখন ফল ধরতে শুরু করে তখন নিয়মিত ফল তোলা শুরু করুন। ফলগুলিকে যখন তারা ছোট এবং নরম থাকে তখনই তোলা উচিত।

হাইব্রিড লাউয়ের চারা পরিচর্যা করার সময় অবশ্যই মাটির পিএইচ মান পরীক্ষা করে নিন। মাটির পিএইচ মান ৬-৭ হলে ভালো হয়। যদি মাটির পিএইচ মান বেশি বা কম হয় তাহলে জৈব সার প্রয়োগ করে মাটির পিএইচ মান ৬-৭ এ সমন্বয় করুন।

হাইব্রিড লাউয়ের চারায় সার প্রয়োগ

হাইব্রিড লাউয়ের চারায় সার প্রয়োগ করার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করা উচিত:

  • সারের ধরন: হাইব্রিড লাউয়ের চারাগুলিকে সমপরিমাণ নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ সার প্রয়োগ করতে হবে।
  • সারের পরিমাণ: হাইব্রিড লাউয়ের চারাগুলিকে প্রতি বর্গফুট জমিতে ১-২ পোন্ড সার প্রয়োগ করতে হবে।
  • সার প্রয়োগের সময়: হাইব্রিড লাউয়ের চারাগুলিকে রোপণের ২-৩ সপ্তাহ পর এবং প্রতি ২-৩ সপ্তাহ অন্তর সার প্রয়োগ করতে হবে।
  • সার প্রয়োগের পদ্ধতি: হাইব্রিড লাউয়ের চারাগুলির চারপাশে মাটিতে সার প্রয়োগ করুন এবং সার মাটিতে মিশিয়ে দিন।

হাইব্রিড লাউয়ের চারাগুলিকে সার প্রয়োগ করার সময় অবশ্যই মাটির পিএইচ মান পরীক্ষা করে নিন। মাটির পিএইচ মান ৬-৭ হলে ভালো হয়। যদি মাটির পিএইচ মান বেশি বা কম হয় তাহলে জৈব সার প্রয়োগ করে মাটির পিএইচ মান ৬-৭ এ সমন্বয় করুন।

হাইব্রিড লাউয়ের চারাগুলিকে সার প্রয়োগ করার জন্য আপনি নিম্নলিখিত সারগুলি ব্যবহার করতে পারেন:

  • গোবর সার: গোবর সার হাইব্রিড লাউয়ের চারাগুলির জন্য একটি উৎকৃষ্ট সার। গোবর সারতে সমপরিমাণ নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম থাকে।
  • কম্পোস্ট সার: কম্পোস্ট সার হাইব্রিড লাউয়ের চারাগুলির জন্য একটি ভাল সার। কম্পোস্ট সারতে নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম ছাড়াও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে।
  • রাসায়নিক সার: রাসায়নিক সার হাইব্রিড লাউয়ের চারাগুলির জন্য একটি দ্রুত সার। রাসায়নিক সারতে সমপরিমাণ নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম থাকে। তবে, রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে মাটির গুণমান নষ্ট হতে পারে।

হাইব্রিড লাউয়ের পোকামাকড় দমন

হাইব্রিড লাউয়ের পোকামাকড় দমন করার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করা উচিত:

  • পোকামাকড়ের ধরন: হাইব্রিড লাউয়ের বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় আক্রমণ করতে পারে। পোকামাকড়ের ধরন নির্ধারণ করে পোকামাকড় দমন করা সহজ হয়।
  • পোকামাকড়ের আক্রমণের লক্ষণ: হাইব্রিড লাউয়ের পোকামাকড় আক্রমণের বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে। পোকামাকড়ের আক্রমণের লক্ষণগুলি সনাক্ত করে পোকামাকড় দমন করা সহজ হয়।
  • পোকামাকড় দমনের পদ্ধতি: হাইব্রিড লাউয়ের পোকামাকড় দমনের বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। পোকামাকড়ের ধরন এবং আক্রমণের মাত্রা অনুসারে পোকামাকড় দমনের পদ্ধতি নির্বাচন করা উচিত।

হাইব্রিড লাউয়ের পোকামাকড় দমনের জন্য আপনি নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করতে পারেন:

  • জৈব পদ্ধতি: জৈব পদ্ধতি হল পোকামাকড় দমনের সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি। জৈব পদ্ধতিতে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। জৈব পদ্ধতিতে পোকামাকড় দমনের জন্য আপনি নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করতে পারেন:
    • আগাছা পরিষ্কার করুন: হাইব্রিড লাউয়ের চারপাশে আগাছা পরিষ্কার করুন। আগাছা পোকামাকড়ের আশ্রয়স্থল।
    • সাপ এবং ব্যাঙ রাখুন: হাইব্রিড লাউয়ের চারপাশে সাপ এবং ব্যাঙ রাখুন। সাপ এবং ব্যাঙ পোকামাকড় খেয়ে ফেলে।
    • ন্যাপথলিন ব্যবহার করুন: হাইব্রিড লাউয়ের চারপাশে নেপথলিন ব্যবহার করুন। নেপথলিন পোকামাকড়কে দূরে রাখে।
    • পেঁয়াজ এবং রসুন ব্যবহার করুন: হাইব্রিড লাউয়ের চারপাশে পেঁয়াজ এবং রসুন ব্যবহার করুন। পেঁয়াজ এবং রসুন পোকামাকড়কে দূরে রাখে।
    • সাদা রঙ ব্যবহার করুন: হাইব্রিড লাউয়ের চারপাশে সাদা রঙ ব্যবহার করুন। সাদা রঙ পোকামাকড়কে দূরে রাখে।
  • রাসায়নিক পদ্ধতি: যদি জৈব পদ্ধতিতে পোকামাকড় দমন না হয় তাহলে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করার সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করুন। রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করার আগে অবশ্যই পোকামাকড়ের ধরন এবং আক্রমণের মাত্রা নির্ধারণ করুন। রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করার সময় অবশ্যই নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন। রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করার সময় অবশ্যই ব্যক্তিগত সুরক্ষার সরঞ্জাম ব্যবহার করুন।

হাইব্রিড লাউয়ের রোগ বালাই

হাইব্রিড লাউয়ে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • পাতার দাগ: পাতায় ছোট ছোট দাগ দেখা দেয়। দাগগুলি লাল, বাদামী বা হলুদ হতে পারে।
  • পাতার বিবর্ণতা: পাতাগুলি হলুদ হয়ে যায় এবং পরে ঝরে পড়ে।
  • ফলের পচা: ফলগুলি পচে যায় এবং নষ্ট হয়ে যায়।
  • পোকামাকড়: হাইব্রিড লাউয়ে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় আক্রমণ করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে aphids, whiteflies, mealybugs, spider mites, squash bugs, cucumber beetles, and squash vine borers.

হাইব্রিড লাউয়ের রোগ বালাই দমনের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে:

  • রোগের প্রতিরোধী জাতের বীজ বপন করুন।
  • হাইব্রিড লাউকে সঠিকভাবে চাষ করুন।
  • হাইব্রিড লাউকে নিয়মিত পানি দিন।
  • হাইব্রিড লাউকে নিয়মিত সার দিন।
  • হাইব্রিড লাউকে নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করুন।
  • হাইব্রিড লাউকে নিয়মিত পোকামাকড় দমন করুন।

যদি হাইব্রিড লাউয়ে রোগ বালাই দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই একজন কৃষিবিদ বা উদ্যানবিদের সাথে পরামর্শ করুন।

হাইব্রিড লাউ চাষ এ ফলন বৃদ্ধির উপায়

হাইব্রিড লাউয়ের ফলন বৃদ্ধির জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে:

  • উপযুক্ত জাতের বীজ বপন করুন।
  • সূর্যের আলো পায় এমন জায়গায় লাউ চাষ করুন।
  • মাটিতে জৈব সার প্রয়োগ করুন।
  • গাছের গোড়ায় নিয়মিত পানি দিন।
  • গাছের গোড়ায় নিয়মিত সার দিন।
  • নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করুন।
  • নিয়মিত পোকামাকড় দমন করুন।
  • নিয়মিত লাউ সংগ্রহ করুন, এতে ফলন বৃদ্ধি পাবে।

যদি হাইব্রিড লাউ চাষ করার পর ফলন কম হয় তাহলে অবশ্যই একজন কৃষিবিদ বা উদ্যানবিদের সাথে পরামর্শ করুন।

আরও পড়ুন – হাইব্রিড লাউ চাষ পদ্ধতি কি? ও এই লাউয়ের জাতের ফলন কি?