স্মার্ট কার্ড চেক করবেন এবং এটি ডাউনলোড করার উপায় জানুন।
আমরা অনেকেই স্মার্ট কার্ড চেক করার নিয়ম বা অনলাইনে চেক করতে চাই। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না কিভাবে অনলাইনে স্মার্টকার্ডটি চেক করতে হয়। তাই এই পোস্টে আপনাকে খুব সহজে ব্যাখ্যা করা হবে কিভাবে আপনার ভোটার আইডি কার্ড নম্বর দিয়ে স্মার্ট আইডি কার্ড চেক করবেন।
আপনার ভোটার আইডি কার্ড থাকলে কার্ড চেক করা যাবে। ভোটার আইডি কার্ড নম্বর ছাড়া কার্ড চেক করা যাবে না। আর যাদের নতুন ভোটার আইডি কার্ড আছে, তাদের Smart Card অনলাইনে আসতে অনেক সময় লাগবে, তারপরও আপনি চাইলে স্মার্টকার্ডটি চেক করতে পারেন।
কিভাবে স্মার্ট কার্ড ডিটেইলস চেক করবেন?
স্মার্ট আইডি কার্ড চেক করতে প্রথমে আপনার মোবাইলে যেকোন ব্রাউজার খুলে গুগলে সার্চ করুন স্মার্ট কার্ড চেক (NID Card Check) বা স্মার্ট কার্ড স্ট্যাটাস চেক (Smart Card Status Check) সার্চ করার পর নিচের ছবির মত আপনার সামনে যে ওয়েবসাইটটি আসবে সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন অথবা সরাসরি ক্লিক করুন। নিচে দেয়া লিঙ্কে ক্লিক করে পেজে প্রবেশ করতে পারেন!
স্মার্ট আইডি কার্ড চেক করার ধাপ
স্মার্ট কার্ড চেক করার জন্য প্রথমেই আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড নম্বর এবং জন্মতারিখ লিখে স্মার্ট কার্ড চেক করতে পারেন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন এবং স্মার্ট কার্ড চেক করতে Smart Card স্ট্যাটাস অপশনে ক্লিক করে বিস্তারিত পড়ুন।
১ম ধাপঃ প্রথমে আপনি আপনার ডিভাইসের গুগল সার্চ বারে (Smart ID Card) স্মার্ট কার্ড চেক বা স্মার্ট আইডি কার্ড চেক লিখে সার্চ দিন অথবা এই লিঙ্কে যান https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/card-status এই সাইটে প্রবেশ করার পর আপনি দেখতে পাবেন উপরের ছবিটি আপনার সামনে আসছে। এখানে আপনাকে সঠিকভাবে আইডি কার্ড নম্বর এবং জন্মতারিখ লিখতে হবে।
আপনি যদি একটি নতুন ভোটার আইডি কার্ড ইউজার হন তবে আপনার কাছে থাকা ভোটার আইডি কার্ডের স্লিপে থাকা নম্বরটি টাইপ করুন এবং পরবর্তী বাক্সে সঠিক জন্ম তারিখ লিখুন।
২য় ধাপঃ আইডি কার্ড চেক করতে ভোটার আইডি কার্ড নম্বর এবং জন্মতারিখ প্রবেশ করার পরে, একটি স্ক্রিনশট নীচে প্রদর্শিত হবে। স্ক্রিনশটে দেওয়া কোডগুলিতে মনোযোগ দিন, তারপর সাবমিট বোতামে ক্লিক করুন। আপনার দেওয়া সব তথ্য সঠিক হলে আইডি কার্ড চেক করুন। নিচের ছবির মত আপনার স্মার্টকার্ডের সকল তথ্য দেখতে পাবেন।
আপনার আইডি কার্ডের তথ্য চেক করা হয়েছে!! নীচে আরও তথ্য জানতে পারবেন এবং পড়ুন কীভাবে মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে আইডি কার্ড চেক করবেন…
মোবাইলে SMS এর মাধ্যমে স্মার্ট আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম
এসএমএসের মাধ্যমে আইডি চেক করতে মোবাইল স্ক্রিনে যান তারপর মেসেজ অপশনে PC <space> টাইপ করুন তারপর ভোটার আইডি কার্ড নম্বর বা স্লিপ নম্বর টাইপ করে ১০৫ নম্বরে পাঠান। তারপর ফিরতি বার্তায় আপনি আপনার স্মার্টকার্ডের অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ড নম্বরটি ১৩ ডিজিটের হয় তাহলে স্মার্ট কার্ড চেক করার জন্য আপনাকে ভোটার আইডি কার্ড নম্বরের আগে আপনার জন্ম তারিখ দিতে হবে।
স্মার্ট কার্ড চেক করার আগে কি করতে হবে?
এখন যদি আপনি (NID Card) স্মার্ট কার্ড চেক এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরে উপরের কার্ড চেকিং ধাপের প্রথম ধাপে দেওয়া ভোটার তথ্য বিকল্পটি না পান তাহলে আপনাকে প্রথমে বাংলাদেশ ভোটার আইডি কার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
উপরের ছবিটির দিকে লক্ষ্য করুন, যদি আপনি ইতিমধ্যেই ভোটার আইডি কার্ড ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে থাকেন তবে আপনি লগ ইন করে (Smart NID Card) স্মার্ট কার্ড চেক করার অপশন দেখতে পাবেন।
এবং যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ড ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত না থাকে, তাহলে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড নম্বর বা ভোটার আইডির আবেদনের সময় আপনাকে দেওয়া ভোটার আইডি কার্ডের স্লিপ নম্বর ব্যবহার করে সহজেই ভোটার আইডি কার্ড ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে পারেন।
আমাদের কাছে একটি সম্পূর্ণ পোষ্ট রয়েছে কিভাবে নিবন্ধন করতে হয় এই পোষ্টে দেওয়া ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই নিবন্ধনটি সম্পূর্ণ করতে পারেন। এখানে ভিজিট করুন এবং রেজিস্ট্রেশন করুন।
ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম
আপনি যদি একটি নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনে চেক করতে পারেন এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি তোলার অন্তত ২০ দিন পরে অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারেন। এবং ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে আপনি প্রথমে ভোটার আইডি কার্ডের ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করতে ভিজিট করুন।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের নিয়ম
আমাদের ভুলের কারণে ভোটার আইডি কার্ড এর তথ্য অজান্তে ভুল হয়ে যায় অনেকেরই। কিন্তু ভোটার আইডি কার্ডে ভুল থাকলে কোন সমস্যা নেই, আপনি সহজেই আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারেন এবং খুব সহজেই আপনার ভোটার আইডি কার্ড পেয়ে যাবেন। তবে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। সম্পূর্ণ আবেদন কমপ্লিট করার জন্য এই পোস্ট দেখুন।
Smart National ID Card অনলাইনে ডাউনলোড করুন
একটি কার্ড ডাউনলোড করা একদম সহজ কাজ নয় কারণ এটি একটি ইলেকট্রনিক মাইক্রোচিপ যুক্ত কার্ড, যার কোনো অনলাইন কপি নেই। কিন্তু আপনি আপনার ভোটার ফর্ম এবং জন্মতারিখ সহ nidw ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ভোটার তথ্যগুলো যেমন আইডি নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করে সাধারণ ভোটার কার্ড ডাউনলোড করতে পারেন। কিন্তু লগ ইন করার আগে, আপনাকে অবশ্যই আপনার আইডি কার্ডের অনলাইন নিবন্ধন সম্পূর্ণ করতে হবে। যারা আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চান তারা একইভাবে নিজেদের আইডি কার্ডের তথ্য দেখতে পারবেন। এবং সংশোধন করা যেতে পারে।
অনলাইনে কার্ড ডাউনলোড করা যাবেনা তবে আপনাকে আপনার নির্বাচনী অফিস থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে হবে।
আর তাই আমি মনে করি না, কার্ড ডাউনলোড করা নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন আমাদের মধ্যে থাকবে। আমি আগেই বলেছি, এই Smart NID Card হল বৈদ্যুতিক মাইক্রোচিপসহ একটি কার্ড যা দেখতে একটি ক্রেডিট কার্ডের মতো। এখন ধরুন আপনি যদি মনে করেন যে আপনি এই কার্ডটি ডাউনলোড করবেন তবে আপনি ভুল ধারনা পোষণ করছেন। স্মার্টকার্ডে ছবি প্রিন্ট করা গেলেও অনলাইনে ডাউনলোড করা অসম্ভব।
কিভাবে স্মার্ট ন্যাশনাল আইডি কার্ড পাবেন
আপনি যদি স্মার্টকার্ডের জন্য যোগ্য হন, আপনি আপনার ইউনিয়ন অফিসে Smart NID Card বিতরণ কার্যক্রম থেকে আপনার কার্ড সংগ্রহ করতে পারেন। আর আগে কার্ড না তুললে ইসি (নির্বাচন কমিশন) তথ্য অনুযায়ী আপনাকে আপনার উপজেলা নির্বাচন অফিস অফিসারের কাছে যেতে হবে। আপনার ভোটার ফর্ম সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।
যারা স্মার্ট ন্যাশনাল আইডি কার্ড তুলতে পারেননি কিন্তু পুরাতন ভোটার তারা পুরনো আইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়ে যাবেন। এরপর ওই কর্মকর্তার স্বাক্ষর নিয়ে রাজধানীর নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে যেতে হবে। সেখানে তাদের ওই কাগজ ও উপজেলা নির্বাচন অফিসের দেওয়া অন্যান্য কাগজপত্র দেখাতে হবে, তারপর আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য নেওয়া হবে। আপনাকে যাচাই করা হবে, এবং আপনার ফটোকপি করা আইডি এবং কাগজপত্রে বিভিন্ন তথ্য লেখা থাকবে। এর পরে, আপনাকে সেই কাগজটি নিয়ে আবার আপনার নির্বাচন অফিসে যেতে হবে এবং স্থানীয় কর্মকর্তাকে দেখাতে হবে। তারপর Smart NID Card সংগ্রহ করতে পারবেন।
যারা Smart National ID Card পাননি?
যারা স্মার্ট ন্যাশনাল আইডি কার্ড পাননি তাদের সংখ্যা প্রায় সাড়ে সাত কোটি, অথচ আমাদের দেশে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় নয় কোটির বেশি। এর মধ্যে সরকার গত কয়েক বছরে মাত্র ১ কোটির বেশি নাগরিককে Smart NID Card দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, এ বছর সবাইকে স্মার্ট ন্যাশনাল আইডি কার্ড দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কিছু জটিলতার কারণে আরও এক-দুই বছর সময় লাগবে তাই বলা যেতে পারে ২০২২ সালে যারা Smart Card পাননি তাদের আরও ২/৩ বছর অপেক্ষা করতে হবে।
আরও পড়ুন – অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই, জন্মনিবন্ধন হয়েছে কি না?