ভিক্ষার বিধান কি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ মাধ্যমে?

ভিক্ষার বিধান

আজকাল অনেকেই ভিক্ষা করছে, আর ভিক্ষা করতে গিয়ে উচ্চারন করছে মুসলিমদের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি কালেমা। এইধরনের কাজ আশেপাশে অনেক দেখা গেলেও কেউ প্রতিবাদ করছেনা, কারন কেউ ভিক্ষার বিধান বিষয়ে সঠিক হাদিস জানেনা। আর সবাই না জেনেই অনেক ভুল করছে, এই ভুলগুলো সংশোধন করা সকল মুসলিম নর-নারীর দায়িত্ত।

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (স.) বলার মাধ্যমে ভিক্ষার বিধান আছে?

প্রশ্নঃ আমাদের দেশে গরীব, মিসকিন ও ফকিররা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ বলে হাত পাতে। এটি শরীয়তের সাথে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ?

উত্তর: “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” যার অর্থ: “আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই; মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর প্রেরিত রসূল।”

“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”: মানুষ ও জিন সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য উল্লেখ করে এমন একটি বিবৃতি, এটাই ইসলামের মূল কথা। এটাই কালিমাতুত তাওহিদ বা একত্ববাদের বাণী।

ইসলামে দান করার জন্য এই কালিমা আসেনি। বরং এটি এসেছে ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র এবং সমগ্র বিশ্বকে পরিবর্তন করতে। মানব জাতির সাফল্য-ব্যর্থতা, জান্নাত ও জাহান্নাম এই মর্মবাণী বাস্তবায়িত হওয়া ও না হওয়ার উপরই নির্ভর করছে।

কিন্তু অজ্ঞতাবশতঃ এক শ্রেণীর মূর্খ এটাকে ভিক্ষার মাধ্যম বানিয়ে ফেলেছে! তারা দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে এই মহান কালেমার মাধ্যমে আর মানুষের কাছে হাত পাতে! যা খুবই দুঃখজনক ও বিব্রতকর বিষয়।

অতএব, তাওহিদের এই মহান বাণী দ্বারা ভিক্ষা করা নাজায়েজ কাজ। কেননা তা কালেমার মানহানি বা অবমাননা হয়, মানুষের কাছে তা হেয় প্রতিপন্ন করে এবং এর গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে। অবশ্যই, যদি কেউ সত্যিই গুরুতর আর্থিক সংকটে থাকে এবং তাকে দান করতে হয়, তারা বলতে পারে, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে দান করুন’, ‘দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন’ বা এই জাতীয় যেকোনো ভাষা সে ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু কালিমাতুত তাওহিদকে ভিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা কখনোই উচিত নয়।

আল্লাহ আমাদের সকলকে ভুল থেকে রক্ষা করুক এবং ক্ষমা করুন।

▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬

উত্তর দিয়েছেন:

আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলিল।

দাই, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব।

আরও পড়ুন – ১৪৪ ধারা কি ও কোন ধারার শাস্তি? এই ১৪৪ ধারার বিস্তারিত